স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ সেশনের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন কাজী আবরার মাহমুদ। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এই শিক্ষার্থী স্থাপত্য অনুষদে মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ ও শোকের পরিস্থিতির মধ্যেই ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১২ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিন ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের পর এদের মধ্য থেকে ১ হাজার ৬০ জন এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
প্রকাশিত ফলাফলে আরও দেখা যায়, স্থাপত্য বিভাগ এবং প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্থাপত্য বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় ৫৪ জনকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম মেধা তালিকায় ১ হাজার ৪ জনকে রাখা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রথম দফায় ও ২৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ভর্তি হওয়ার শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।
এ বছর ১২টি বিভাগে ১ হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ১২ হাজার ১৬১ প্রার্থী। দুই শিফটে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা। গত ১৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত প্রথম ধাপে প্রকৌশল ও স্থাপত্য বিভাগের পরীক্ষা এবং ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্থাপত্য এর অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আবরারের বাবা যে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজন এখনো পলাতক।